বর্ধমান কাটোয়া রাস্তার ধারে আকর্ষণীয় ফার্ণিচার শো রুম , প্রচুর অফার

6th July 2020 11:16 am বিনোদন
বর্ধমান কাটোয়া রাস্তার ধারে আকর্ষণীয় ফার্ণিচার শো রুম , প্রচুর অফার


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : আনন্দ সংবাদ ! নিত্য নতুন ডিজাইনের ফার্নিচারের শো রুম  আপনাদের এলাকায়। চলছে ধামাকাদার অফার। কেনাকাটার উপর চলছে বিশেষ ছাড় । তাই দেরি না করে আজ ই চলে আসুন মেঘ মিন ফার্ণিচার  শো রুমে।  এই প্রথম বর্ধমান কাটোয়া রোডের উপর ভোতার পাড়াতে আগামী ১০ ই জুলাই ' ২০২০ শুভ উদ্বোধন হতে চলেছে।আপনাদের প্রত্যেককে  সাদর আমন্ত্রন। তাই আজই বুকিং করুন  নম্বরে। 
প্রতিটি ফার্নিচার বুকিং এর উপর থাকছে ২০ % থেকে ৬০% এর অধিক ছাড়। প্রত্যহ সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা  পর্যন্ত চালু থাকছে শো রুম।

আপনি এখানে পাবেন নিত্য নতুন ডিজাইনের রড আয়রন খাট, আলমারি,সোফা,ডাইনিং টেবিল,বক্স খাট,টি টেবিল,স্টিলের আলমারি ও বিভিন্ন আসবাবপত্র সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় এখানে। তাই দেরি না করে আজই চলে আসুন শো রুমে। 
যোগাযোগ  - 8906314288 / 7001127725





Others News

ফিরে এসো অপু - আকুল প্রার্থনায় আপামর বাঙালী

ফিরে এসো অপু - আকুল প্রার্থনায় আপামর বাঙালী


                    সৌম‍্য ঋষি 

----------------------------------------

আপনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, গভীর রাতে বা ভোরবেলা ফোন বাজলেই চমকে ওঠেন। আবার কারও মৃত্যু সংবাদ এল কি?  এবার কার পালা! 
রবীন্দ্রনাথ যেমন বলেছেন, "আমি পরাণের সাথে খেলিব আজিকে মরণখেলা নিশীথবেলা।" তেমনই আপনার কন্ঠে -" মৃত্যু আয় তিনপাত্তি খেলি"- অমর হয়ে থাকবে। যদিও আপনি লেখেননি, তবু যেন এটা আপনার। আপনার মনের কথাগুলি যেন অনেকদিন বাদে বললেন। আপনার সাদাকালো সিনেমা দেখে যেই প্রজন্ম বড় হয়েছেন তাদের মনে সবসময় আপনাকে আর উত্তম কুমারকে নিয়ে একটা তুলনা চলত। কিন্তু তারাও আপনার অভিনয়ের, কন্ঠের ভক্ত। অথচ বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের প্রথম পছন্দ ছিলেন আপনি।  আমরা যারা চল্লিশ থেকে পঞ্চাশের দিকে চলেছি এবং প্রতিনিয়ত আপনার নতুন নতুন কাজ দেখছি, তারা আপনার আকুল ভক্ত। ছোট ছোট বাজেটের ছবি, আর তাতে আপনার উপস্থিতি ছবিটিকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যায়।  আমরা অপুকে চিনি, ফেলুদাকে চিনি, জীবনে কি পাব না গানের সাথে নৃত্যরত সেই অভিনেতাকে যেমন চিনি, তেমন চিনি সেই অগ্রদানী ব্রাহ্মণকে - যার অসহায়তা চোখের জল ধরে রাখতে দেয় না - আবার কুন্তল কেও চিনি, পোস্তর দাদুকে চিনি, বেলাশেষের সেই বৃদ্ধকে চিনি, ধর্ষিতা নাতনির হয়ে বদলা নেওয়া ইঞ্জিনিয়ার  দাদুকে চিনি। পর্দায় আপনার সৌম্যদর্শন চেহারা, বিরামহীন এই কর্মজীবন শুধু আমাদের নয়, আমাদের পরের প্রজন্মকেও আপনার ডাই হার্ট ফ্যান করে তুলেছে। আজ মৃত্যু আপনার কাছে একটি আবশ্যিক ঘটনার মতো। রেখাপাত করার মতো নয়।  কারণ আপনি লিজেন্ড।  আমরা আপনাকে চিনি আপনার কাজ দিয়ে। যা আপনাকে চিরজীবী করবে। ব্যাক্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কেমন থাকেন, তাঁর নিজস্ব দুঃখ সুখ,তাঁর জীবনটা কি আমাদের মতোই সাধারণ না রূপকথার মতো - জানি না কিছুই। আপনি এই অসাধ্যসাধনটি করতে পেরেছেন। আমরা ঋদ্ধ হয়েছি আপনার কাজে। প্রণম্য আপনি। সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন। না হয় আপাতত কাজ নাই করলেন। তবু জানব আছেন। আর যদি মৃত্যু আপনাকে ডেকে নেয়, তার কারণ অন্য হোক। করোনায় মরণ আপনার জন্য কাম্য না। কক্ষোনো না কক্ষোনো না ----

ছবি : সংগৃহিত